The news is by your side.

সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবেলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান : প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী বছর। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবেলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – ছবি : পিআইডি

‘…যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার সাম্প্রতিক সফরের সময় আমি অনেক বিশ্বনেতা ও সংস্থার প্রধানদের সাথে কথা বলেছি। প্রত্যেকেই এই বিষয়টি (খাদ্য নিরাপত্তা) নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা মনে করেন যে ২০২৩ সাল একটি খুব ভয়াবহ বছর হবে। এ বছরে খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ হতে পারে।’ তার বক্তব্যে তিনি এটি বলেছেন।

আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি) রাজধানীর এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সাপ্তাহিক সভায অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে দেয়া সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি উক্ত অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ একটি নির্বাহী কমিটি একনেক, যা সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প যাচাই করে এবং অনুমোদন দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের মাটি খুবই উর্বর এবং আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

মিতব্যয়িতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলার আহবান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, গ্যাস এবং অন্য সবকিছু ব্যবহারেই মিতব্যয়িতা বজায় রাখতে হবে। আমি প্রত্যেক পরিবারকে অনুরোধ করব; তারা যেন যতটুকু পারেন, সঞ্চয় করেন। এবং এটি আমাদের সরকারের জন্যও প্রযোজ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা প্রয়োজন তা ব্যবহার করব, এর বেশি না। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ আমাদের নেই। কারণ আমি বিশ্বনেতা ও সংস্থা প্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ দেখেছি। তাই, আমাদের অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (জনগণ) আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যতদিন মানুষ আমাদের সাথে থাকবে, ততদিন আমাদের কোনো চিন্তা নেই। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলা করার সময়ের মতো জনগণকে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে এবং তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।’

রাশিয়া এবং ইউক্রেন এর যুদ্ধকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশে যে মন্দার প্রভাব পড়ছে, তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

প্রতিবার মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করতে পরিকল্পনা কমিশনকে তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় না করারও অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘কারণ বিশ্বের অনেক দেশ এই বিষয়ে আলোচনা করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো … তাদের নিজেদের দেশে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরও এই বিষয়ে কোনো বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা উচিত। যা প্রয়োজন আমরা তাই করব।’

যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘ফান্ড পাওয়া গেলেও কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার নেই। আমাদের যে কোনো প্রকল্প খুব সতর্কতার সাথে যাচাই-বাছাই করে নিতে হয়, যাতে সেই প্রকল্প থেকে আমরা কিছু রিটার্ন পেতে পারি; যা দেশের উপকারে আসে। আমরা (এখন শুধু) এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেবো।’-

গণগবেষণা : ক্ষমতাহীন মানুষের ক্ষমতালাভের পথ

Leave A Reply

Your email address will not be published.