প্রাথমিকে আবারও আসছে বদলি আবেদনের সুযোগ।
প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু হয়েছে দীর্ঘ আড়াই বছর পর। অনলাইনে বদলি নির্দেশিকায় দেয়া হয়েছে কিছু শর্ত। আর এসব শর্তের কারণেভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষকগণ। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকের হাজারো শিক্ষক বদলি নির্দেশিকার কারনে আবেদনই করতে পারেননি।

আশার বাণী শোনা যাচ্ছে অনেকদিন থেকেই যে, ভোগান্তির নিরসন করার জন্য নির্দেশিকার কিছু অংশ পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে আবারো বদলি আবেদনের সুযোগ পাবেন প্রাথমিকের প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকন্ঠকে বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে ২৫ হাজার ৩৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। তিনি আরও জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলি চলমান আছে।
আলোচনায় আসে বদলী নির্দেশিকার ৩ দশমিক ৩ ধারা। তবে এর পরিমার্জন করে দেশের শিক্ষকদের ভোগান্তি দূর করা হবে বলে জানান তিনি।
অনেকদিন ধরেই শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলন করে আসা শিক্ষক নেতা মাহবুবর রহমান বলেন, বদলিযোগ্য শিক্ষকের ৮০ ভাগই বদলি আবেদন করতে পারেননি। আমাদের সামনে অধিদফতর থেকে যে ২৫ হাজার আবেদনের কথা বলছে তা খুবই কম। বদলির প্রয়োজন রয়েছে এমন শিক্ষকের সংখ্যাতো কম পক্ষে ১ লাখ।
আবেদন শুরুর পর জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে সব শিক্ষক পদে মামলা চলমান রয়েছে তাদের বদলির আবেদন গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, ১:৪০ অর্থাৎ যেসব স্কুলের ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক আছেন, এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইনে বদলি আবেদন করতে পারেননি।
শিক্ষকের স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে তার স্বামী-স্ত্রী কর্মস্থলে বদলির সুযোগও রাখা হয়নি। ফলে অনলাইন বদলির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এসব শিক্ষকরা। আগের নির্দেশিকায় উপজেলার বাইরে থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক বদলির সুযোগ থাকলেও ২০২২-এর নির্দেশিকায় করা হয়েছে ১০ শতাংশ।
দীর্ঘদিনের শিক্ষক নেতা জনাব সামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, অনলাইনে বদলি নীতিমালা অনেক শিক্ষকেরই কান্নার কারণ হয়েছে। ৪০ কি.মি. দূর থেকে এসে যিনি শিক্ষকতা করতেন তিনি নীতিমালার কারণে বদলি হতে পারছেন না।। বদলি জটিলতা সংসার ভাঙ্গার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা জানিয়েছেন, নির্দেশিকার কয়েকটি শর্তের কারণে অনেক শিক্ষক আবেদন করতে পারছেন না বলে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তাদেরকে দ্বিতীয় ধাপে আবারও সুযোগ দেওয়া হবে। সেখানে ১:৪০ এই নিয়মটি সংশোধন করা হবে ফলে তাদের এই জটিলতা কমবে। তবে বদলি আবেদন চলবে শুধুমাত্র আন্তঃউপজেলা পর্যায়ে।
প্রশ্ন কী, কেন করা হয়, প্রশ্নের প্রয়োজনীয়তা, প্রশ্ন কি সমস্যার সমাধান হতে পারে?